মাধ্যম ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গত ১৩ বছরে গণতান্ত্রিক যাত্রা অব্যাহত আছে, ঝড় ঝাপটা যে আসেনি, তা কিন্তু নয়। সেগুলো আমরা মোকাবেলা করেছি। মানুষের সব চাহিদা পূরণে কাজ করছি। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়ার কার্যক্রম হাতে নিয়েছিলাম। আমাদের লক্ষ্য- কোনো ঘর অন্ধকার থাকবে না। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে সবার ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। আলোর পথে যাত্রা সফল হয়েছে।
সোমবার (২১ মার্চ) পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ধানখালীর পায়রাতে নির্মিত সর্বাধুনিক আলট্রা সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি। এর মাধ্যমে প্রথম দক্ষিণ এশিয়ার দেশ হিসেবে সারাদেশে ১০০ শতাংশ বিদ্যুতায়নের ঘোষণা এলো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওয়াদা করেছিলাম প্রতিটি মানুষের ঘর আলোকিত করবো। প্রতিটি মানুষ আলোকিত হবে। আলোর পথে আমরা যাত্রা শুরু করেছি। আজকের দিনে আলোর পথে যাত্রা সফল হয়েছে।
প্রতিটি ঘরে আলো পৌঁছে দিতে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, যেসব এলাকা যেমন রাঙাবালী, নিঝুম দীপ, সন্দীপসহ বিভিন্ন এলাকায় নদীর নিচ দিয়ে সাবমেরিন ক্যাবল দিয়ে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিচ্ছি। যেখানে বিদ্যুৎ গ্রিড লাইন নাই, সেখানে সোলার প্যানেল করে দিচ্ছি।
প্রতিটি জায়গায় কিন্তু আমরা বিদ্যুৎ দিয়ে দিচ্ছি। প্রতিটি জীবন আলোকিত হবে এটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
এসময় দেশের উন্নয়নে বিদ্যুতের প্রয়োজনীয় ও গুরুত্ব তুলে ধরে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া বক্তব্য তুলে ধরেন শেখ হসিনা।
২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে এই দীর্ঘ সময়ে সরকার থাকায় ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার কারণে জনগণকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এই সময়ে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রেখেছি। অনেক ঝড় এসেছে, তবুও অব্যাহত রাখতে পেরেছি বলেই আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে।
কয়লাভিত্তিক এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। পায়রায় কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালুর মধ্য দিয়ে ২০২০ সালেই বাংলাদেশ আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল ক্লাবে প্রবেশ করে। আলট্রা সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে এ ধরনের বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশ বিশ্বের ১৩তম এবং এশিয়ায় সপ্তম। ৬৬০ মেগাওয়াট করে দুই ইউনিট মিলে বিদ্যুৎকেন্দ্রের মোট উৎপাদন ক্ষমতা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট।
GIPHY App Key not set. Please check settings