রংপুর: রংপুরের পীরগাছায় ইমরোজ হোসেন রনি নামের এক যুবক শনিবার সকাল সাড়ে আটটায় ফেসবুক লাইভে গিয়ে বিষ পান করে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় চার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গ্রেপ্তাররা হলেন যুবকের স্ত্রী শামীমা ইয়াসমিন ওরফে সাথী (২৩) এবং সাথীর বাবা মো. শাহজাহান ইসলাম ওরফে বাদল (৫০), বোন বিথী আক্তার (৩০) ও বোনজামাই মো. ইমদাদুল হক (৩৫)।
শুক্রবার (১৮ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর সাভারের হেমায়েতপুর একতা হাউজিং এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-৪-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জিয়াউর রহমান চৌধুরী।
র্যাব জানায়, ফেসবুক লাইভে রনি তার আত্মহত্যার জন্য স্ত্রী, শ্বশুর, চাচাশ্বশুর ও ভায়রাসহ শ্বশুরবাড়ির আরও কিছু সদস্যকে দায়ী করেন। পরে ঘটনা তদন্তে জানা যায়, চার বছর আগে একই উপজেলার পশ্চিম হাগুরিয়া হাশিম গ্রামের দিনমজুর বাদল মিয়ার মেয়ে শামীমা ইয়াসমিন সাথীকে ভালোবেসে বিয়ে করেন ভিকটিম ইমরোজ হোসেন। বিয়ের পর তাদের সংসারে এক ছেলেসন্তান জন্ম নেয়। কিন্তু বেশ কয়েক দিন ধরে তাদের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। এর সূত্র ধরে দেনমোহরের পাঁচ লাখ টাকা ও ভরণপোষণ দাবি করে আসছিলেন স্ত্রী। একপর্যায়ে কাউকে না বলে ভিকটিমের স্ত্রী তার চাচা মুকুল মিয়ার বাড়িতে চলে যান। ভিকটিম তার স্ত্রীকে আনতে গেলে ভিকটিমের শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে বিভিন্নভাবে অপমান-অপদস্ত করে। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভিকটিম ফেসবুক লাইভে আসলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে যায়। বিষয়টি প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়া প্রকাশসহ এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। যার পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের পাশাপাশি ছায়া তদন্ত শুরু করে।
র্যাব আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামিরা আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছের। এছাড়া গ্রেপ্তার আসামিদের রংপুর জেলার পীরগাছা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
GIPHY App Key not set. Please check settings